অপমানের জবাব অনেক ভাবে দেওয়া যায়, কেউ বা আঘাত করে দেন কেউ বা মিষ্টি কথায় কেউ আবার অপমান কারীর মক্ত কিংবা তার ওপর । আজ এক মেয়ের কাহিনী বলব যে শৈশবে তার বাবাকে কালেক্টর অফিসে অত্যাচারিত হতে দেখেছিলেন। সেই অত্যাচার দেখে মনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন যে বড় হয়ে বাবার উপর হওয়া অত্যাচারের বিচার করবেন।

ছোট থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী ছিলেন তিনি, পড়াশোনাতেও খুবই ভালো ছাত্রী ছিলেন রোহিণী। ধীরে ধীরে তিনি পড়া কমপ্লিট করেন শত বাধা ও কষ্ট সত্ত্বেও। তারপর রোহিণী ইউ পি এস সি পরীক্ষার জন্য পড়তে শুরু করেন। ইউ পি এস সি পাশ করে হয়ে যান আইপিএস অফিসার।

জানা গেছে রোহিনীর বাড়ি মহারাষ্ট্রের সোনাপুরে। তিনি এক অত্যন্ত গরিব পরিবারের মেয়ে। তিনি সোলাপুর এর একটি সরকারি স্কুল থেকে দশম শ্রেণী পাস করেছিলেন, তার পর উচ্চশিক্ষার জন্য সলাপুর টাউনে এসে উপস্থিত হন রোহিণী।এখানে এসে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে ইউপিএসসি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলেন।

সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেতে বারবার সরকারি দপ্তরে যেতে হতো রোহিনীর বাবাকে। কিন্তু সেখানে পরিষেবা পাওয়ার বদলে জুটত অপমান। সামান্য একটি স্বাক্ষরের জন্যও সরকারি অফিসে দিনের পর-দিন বাবার যাবার এই অক্লান্ত পরিশ্রম চোখের সামনে দেখেছিল রোহিণী। এটা তিনি সহ্য করতে পারেননি। তাই তার বাবার হওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে কালেক্টর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গরিব পরিবারের ছোট্ট মেয়েটি। দীর্ঘদিনের মনে গেঁথে রাখা স্বপ্ন অবশেষে সফল পরিণতি পেল। তিনি বর্তমানে তামিলনাড়ুর সালেম জেলার প্রথম মহিলা কালেক্টর হিসাবে কাজ শুরু করেছেন। তিনি অন্য মেয়েদের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করছেন।